মমিনুল ইসলাম মোল্লা, বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে আমরা শুদ্ধভাবে বাংলা বলব। পাশাপাশি সুন্দর করে বাংলা লেখাও আমাদের দায়িত্ব।
বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতের লেখা সুন্দর করা আবশ্যক। আমরা বাংলাতে যা কিছু লিখি তা অবশ্যই অ থেকে ( ঁ ) পর্যন্ত বর্ণ দিয়ে লিখি। সুতরাং এ বর্ণগুলো লাইন সোজা রেখে বইয়ের অক্ষরের মতো সাজিয়ে লিখলে আপনার হাতের লেখা অবশ্যই প্রশংসা লাভ করবে। কিন্তু বিনা প্রয়োজনে এগুলো আমরা প্র্যাকটিস করি না। তাই হাতের লেখা নিয়ে প্রায়শঃ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কথা শুনতে হয়। একটি গল্পের মাধ্যমে বাংলা হাতের লেখা চর্চা করলে লেখা আরো সুন্দর ও দ্রুত হবে। গল্পটি এরকমঃ “ঈদের দিন। চাঁদপুরের কংশ মিয়া ঊন-শিশি ঔষধ খেলেন। নামাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। অথচ; ঋকদ গাঢ় লাল টুপিটা কোথায় ঠাওর করতে পারছেন না। গিন্নিকে ডাকায় ও বল্ল, উফঃ হয়তো ক্ষণাঝপুরে ঢাভকুর ভাষায় ফেলে এসেছো। নাতনী ইলা নানার মাথার দিকে দৃষ্টি রেখে ঈষৎ রঙ মাখানো হাসিতে টেনে টেনে বল্ল-আমি ব-ল-ব-না, ব-ল-ব-না। তখন বুড়ো হাঁকালো-“ঐরাবত-ঘোড়া গেল তল ভেড়া বলে কত জল।”লক্ষ্য করে দেখুন গল্পে অ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জন বর্ণ সবগুলো রয়েছে। এটি প্রতিদিন একবার সাধনা করলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা অবশ্যই সুন্দর হবে। শিক্ষার্থীরাসহ অন্যরাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন হাতের লেখা অমূল্য সম্পদ। যাদের লেখা ভালো তারা জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারে। লেখক মারা যেতে পারে;মানুষের লেখা অমর হয়ে থাকে। কথায় বলে-অমার লেখা কইবে কথা ;আমি যখন থাকবোনা।
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: