সর্বশেষ

Thursday, 23 September 2021

   ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস--বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস (৪র্থ )

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস--বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস (৪র্থ )

 

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস--বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস (৪র্থ )

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস বর্ণনা করতে পারবে |  বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস |  | ৫০তম-৫১তম | অংশবিে চতুর্থ অধ্যায়১৯৭২ সালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে * ১৯৭২ সালের সংবিধানশষ বাংলাদেশের বাংলাদেশের সংবিধানে সন্নিবেশিত মৌলিক অধিকারসমূহ ব্যাখ্যাবৈশিষ্ট্য সংবিধান করতে পারবে * রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ৫৪তম (আংশিক) * মৌলিক অধিকার


Wednesday, 22 September 2021

টিনএজ প্রেম

টিনএজ প্রেম

 




একবার একটু নিজের পেছনের দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করুন তো। আচ্ছা আপনার অথবা আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সেই প্রথম ভালোবাসা, ভালোলাগার কথা মনে পড়ে কি? প্রতিদিন পাশের বাড়ির যে ছেলেটির সাথে অনেক মজা করা,আড্ডা দেয়া হঠাৎ করে কোনো একদিন থেকে তাকে অন্যভাবে ভালো লাগতে শুরু করা। কিংবা বন্ধুর ভাইয়ের কাছে প্রতিদিন পড়তে যাওয়া, কিন্তু যেদিন বাড়ি ফিরে দেখলেন অঙ্ক বইয়ের ভিতর ছোট একটি চিরকুট, আর তাতে ছেলেটির মনের কথা লেখা। সেদিন নিশ্চয়ই নিজেকে অন্যরকম লেগেছিল? 

বয়ঃসন্ধির শুরুতেই তো জীবনের প্রথম ভালোলাগা, ভালোবাসা উঁকি দেয়। ভয় ভয় মনে সবার আড়ালে একটু দেখা করা, বন্ধুদের হাত দিয়ে চিঠি দেওয়া-নেওয়া, এ সবই তো জড়িয়ে আছে বয়ঃসন্ধির প্রেমের সঙ্গে। তখন মনের মধ্যে সবসময় একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করত।

কিন্তু দিন বদলের সাথে বদলে গেছে টিনএজারদের চরিত্রেও। এখন লোকজন কী বলবে তা নিয়ে খুব বেশি ভাবে না তারা। প্রায় সবার হাতে  আছে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটে অবাধ প্রবেশ। এসবের হাত ধরে পাল্টেছে টিনেজ প্রেম। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রতিদিন চ্যাট হচ্ছে নতুন নতুন মানুষের সাথে। এখনকার টিনএজারদের মধ্যে সবসময় একটি অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে; যা অনেক সময় মা-বাবার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খুব সাবধানে বাবা-মাদের এসব বিষয় মোকাবেলা করতে হবে। 

কী করবেন? 

# আপনার ছেলে বা মেয়ে কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে জানতে পারলে প্রথমেই রেগে যাবেন না। নিজের টিনএজের কথা ভাবুন,আপনার জীবনেও নিশ্চয়ই এমন ঘটনা ঘটেছিল। বয়ঃসন্ধির সময় শরীর ও মনের নানা পরিবর্তন আসে, আর সেজন্য বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা খুবই স্বাভাবিক। এত বিস্মিত হওয়া বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ছেলে বা মেয়ের কাছে গল্পচ্ছলে তার বন্ধু-বান্ধবদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখানো বা একবারে চুপ থাকা উচিত হবে না। যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভভাবে জেনে নিন তার কারো প্রতি বিশেষ টান কা আগ্রহ আছে কিনা, সে এটি নিয়ে কতদূর এগিয়েছে, তার বন্ধুটি কোন ধরনের মানুষ, তাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না তা জেনে নিন।

আপনার কথাবার্তায় যেন  সে বুঝতে না পারে আপনি তাকে চাপ দিচ্ছেন বা সে অন্যায় কিছু করছে। আরো ভালো হয় যদি আপনি সময় করে আপনার ছেলে বা মেয়ের সেই বন্ধুটি সহ অন্য বন্ধু-বান্ধবদের আপনার বাসায় নিমন্ত্রণ করেন। সবার সাথে অবশ্যই স্বাভাবিক এবং স্নেহপ্রবণ ব্যবহার করবেন। তবে ছেলে বা মেয়েটির সাথে আলাদাভাবে কথা বলুন। জেনে নেন তার পড়াশোনা, পরিবার, ধ্যানধারণা সম্পর্কে। তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন সে আসলে মানুষ হিসেবে কেমন। 

# আপনার সন্তান ও তার বিশেষ বন্ধু কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাই এখনি তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ জীবনের কোনো কমিটমেন্ট আশা করবেন না। তাদের বন্ধুর মতোই থাকতে দিন। বড় হওয়ার পরেও যদি এ সম্পর্ক থেকে যায়, তার থেকে ভালো কিছুই আর হতে পারে না। তাই এখন থেকেই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের স্বাভাবিক বিকাশে কোনোভাবেই বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।  

# ছেলেমেয়ের কোনো বন্ধু বা তার পরিবার সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করবেন না। এতে আপনি আপনার সন্তানের কাছে ছোট হয়ে যাবেন। তবে হ্যাঁ, সন্তানের বন্ধুর ব্যাপারে উদার হলেও বাড়ির বেসিক ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে কোনো আপস করবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফেরা, দেরি হলে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া, না জানিয়ে কোথাও চলে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলা বা কম্পিউটারে চ্যাট করা- এসব পরোক্ষভাবে আপনার সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। তাই চেষ্টা করুন নিজের হাতে এসব কন্ট্রোল করার। 

# বয়ঃসন্ধির সময় একটা বেপরোয়া, বেহিসাবি ভাব অনেক ছেলেমেয়ের আচার আচরণেই দেখা দিতে শুরু করে। অভিভাবকদের তদারকি তাদের কাছে ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ বলে মনে হয়। যদি দেখেন আপনার ছেলে বা মেয়ে তার সম্পর্কটা ঠিক মতো হ্যান্ডেল করতে পারেছে না বা ওর ব্যক্তিগত জীবন এতে প্রভাবিত হচ্ছে, পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, তাহলে প্রথমেই তাকে বকাঝকা করবেন না। ওকে বন্ধুর মতো করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। 

# আপনার সন্তানকে সময় দিন। নিজের যতোই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, নিয়মিত ওর স্কুল, টিউশন- সবকিছু সম্পর্কে খোঁজখবর রাখুন। চেষ্টা করুন ওর বন্ধু হয়ে ভরসার মানুষ হয়ে ওঠার, যাতে ও আপনার থেকে কোনো কিছু লুকিয়ে না রাখে। একসাথে শপিং করুন, সিনেমা দেখুন, তাহলে আপনাদের বন্ধন আরও শক্ত হবে

যে কথা গুলো টিনএজ বয়সে খুবই স্পর্শকাতর !

যে কথা গুলো টিনএজ বয়সে খুবই স্পর্শকাতর !

 


সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক ~ যে কথা গুলো কখনোই টিনএজারদের বলতে হয় না
আপনার টিনএজ বয়সের কথা মনে আছে? একটুতেই রাগ আর অভিমান করে বসতেন সেই বয়সটাতে। অনেক কিছুই বুঝেও জিদ ধরে না বোঝার ভান করতেন কিংবা রাগ দেখতেন। আবার মনের ভেতরে সব কিছু নিয়েই কৌতুহল কাজ করতো। আর সেই কৌতুহলের বশেই হয়তো অনেক ভুল পথেও পা বাড়িয়েছেন একাধিকবার। তাই না? আসলে টিনএজ বয়সটাই এমন! ভুল করে করে শেখার বয়স।

tin-age-2016

টিনএজ বয়সটা খুবই স্পর্শকাতর একটি সময়। টিনএজারদেরকে অনেক কিছুই বলা উচিত না, অনেক কিছু বুঝে শুনে তবেই বলা উচিত। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এগুলো না বুঝে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বলে ফেলি। ফলে তারা অভিমান করে, জেদ ধরে অথবা বড় কোনো ভুল করে ফেলে। অথবা আপনার সম্পর্কে তার হয়ে যায় একটি বিরূপ ধারণা। তাই টিনএজারদের সাথে কথা বলার সময় কিছুটা কৌশল ও সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো। আসুন জেনে নেয়া যাক টিনএজদেরকে কখনই বলতে হয় না এমন ৭টি কথা সম্পর্কে।

খোঁটা দেয়া বা তিরস্কার করা: টিনএজারদেরকে কোনো ভাবেই খোঁটা দেয়া কিংবা কোনো বিষয় নিয়ে তিরষ্কার করা উচিত না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অনেক সময় আমরা ভাবি যে কিছুটা তিরস্কার করলে হয়তো পরবর্তীতে তারা ব্যাপারটি শুধরে নেবে। কিন্তু এই বিষয়টি টিনএজারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই টিনএজারদেরকে তিরস্কার করে কিংবা খোঁটা দিয়ে কথা না বলে ধৈর্য্য নিয়ে আদর করে বোঝানো উচিত।

চেহারা কিংবা দেহাআকৃতি নিয়ে খারাপ মন্তব্য: অনেক সময় অনেকেই দুষ্টামির ছলে বলে থাকেন ‘তোমার গায়ের রঙ তো কালো’ কিংবা ‘তুমি অনেক মোটা”! এমনকি নিজের মা-বাবা-ভাই-বোনেরাও এসব বলে থাকেন। অথচ এই ধরণের কথা গুলো একজন টিনএজারকে কখনোই বলা উচিত নয়। কারণ এই ধরণের কথা গুলো তাদের মনে দাগ কেটে যায় এবং পরবর্তীতে সারা জীবন তারা অসম্ভব হীনমন্যতায় ভোগে। অনেকেই চিরস্থায়ী বিষণ্ণতার রোগী হয়ে যায়।

প্রেম নিয়ে গাল মন্দ করা : টিনএজ বয়সে বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরাই প্রেমে পড়ে। প্রেমে পড়ার কারণে অনেক সময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। টিনএজ বয়সে কেউ প্রেমে পড়লে তাকে সেটা নিয়ে গাল মন্দ করা উচিত না। এমনকি মোবাইল রেখে দেয়া কিংবা ঘরে বন্দি করে রাখাও উচিত না। এক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়ে অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালানোর মত ভুলও করে বসে। বরং যেভাবে বোঝালে সে বুঝবে ও ভুল পথে পা বাড়াবে না, সেটাই অবলম্বন করা উচিত।

মা/বাবার নামে বদনাম : টিনএজারা মা/বাবার নামে বদনাম কিংবা মা/বাবার দাম্পত্য জটিলতা সহ্য করতে পারে না। এই ধরণের পরিস্থিতিতে তারা নিজেদেরকে অসহায় মনে করে এবং হতাশাগ্রস্থ হয়ে যায়। ফলে হতাশাগ্রস্থ হয়ে অনেক সময়ই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে কিংবা একাকীত্বে ভোগে। তাই যাদের ঘরে টিনএজ সন্তান আছে তারা সন্তানের কাছে বাবা/মায়ের বদনাম কিংবা দোষ বলবেন না। অন্তত সন্তানের সামনে নিজেদের সম্পর্কের জটিলতা প্রকাশ না করাই ভালো।

নেতিবাচক কথা বলা : অনেকে মা-বাবাই রাগের মাথায় টিনএজারদের অনেক নেতিবাচক করা বলে ফেলে। “তুমি আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছ”, “তুমি এটা পারবেনা”, কিংবা “তুমি মরো না কেন” ইত্যাদি কথা গুলো টিনএজারা সহ্য করতে পারে না এবং খুব সিরিয়াসলি নিয়ে থাকে। ফলে তারা মনে খুব আঘাত পায়। ফলে অনেক সময় তারা এই ধরণের কথা শুনে আত্মঘাতি হয়ে ওঠে এবং আত্মহত্যার মত ভুল করে ফেলে।

tin-age

তুলনা করা: “অমুকের পরীক্ষার রেজাল্ট তোমার চাইতে ভালো” কিংবা “তমুক তোমার চাইতে অনেক বেশি লক্ষ্মী- এসব কথা টিনএজারদের সামনে না বলাই ভালো। কারণ এই ধরণের কথা তারা সহ্য করতে পারে না এবং এসব কথা গুলো তাদেরকে আরো বেশি জেদী করে দেয়। ফলে তারা অনেক বেশি মেজাজি ও অবাধ্য হয়ে ওঠে।

টিনএজারদের সামনে অশ্লীল কথা : টিনএজারদের সামনে অশ্লীল কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। টিনএজারদের সামনে অশালীন কথাবার্তা বললে তারা বিব্রতবোধ করে এবং সেগুলো শিখে অন্যদেরকে বলে। এছাড়াও এই ধরণের কথা যে বলে তার উপর থেকে শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। তাই টিনএজাদের সামনে অশ্লীল কথাবার্তা বলা একেবারেই উচিত নয়।